(তারাপীঠ মন্দির) Tarapith Mandir

Tarapith | (তারাপীঠ মন্দির) Tarapith Mandir | Tarapith Temple

তারাপীঠ মহাপীঠ আবস্থিত বীরভুম জেলার রামপুরহাটের নীকটতম স্থানে প্রতিবছর কৌশিকি আমাবস্যায় মা তারা আন্যরুপে পূজিত হন কারন এই এইদিনটি একটি বিশেষ দিন লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্তরা মায়ের কাছে পূজ দিতে আসেন বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন স্থান থেকে। ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াতের সুব্যাবস্থা আছে রামপুরহাট থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে আবস্থিত তারা মায়ের মন্দির। এছাড়া প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তরা আসেন মা তারার দর্শন করতেকৌশিকি আমাবস্যার দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়কথিত আছে যে কৌশিকী অমাবস্যার দিন এইমহাপীঠে মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। এই মন্দির শাক্তধর্মের একান্ন সতীপীঠের আন্যতম পীঠ যেখানে সাধক বামাক্ষাপা এই মন্দিরে পুজ করতেন এবং মন্দিরের নিকটতম স্থানে বসবাস করতেন।
সাধক বামাক্ষাপা এইমন্দিরের মহাশশ্বানের কৌলাস পতি বাবা নামে এক তন্ত্র সাধকের কাছ থেকে তন্ত্রসাধনা লাভ করেছিলেন। বামাক্ষাপা তারা মায়ের পুজদিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন(১৮৪৩ - ১৯১১)। সতী দেবির পিতা দক্ষ যিনি শিব বিনা নিমন্ত্রিত করে যোজ্ঞের আয়োজন করেন সতী দেবী এই ঘটনাকে স্বমী আপমানিত বোধ মনে করে সেই যজ্ঞস্থলে আত্মত্যাগ করেছিলেন তার পর মহেশ্বর শিব সতি দেবীর দেহকে নিয়ে প্রলয়নিত্য শুরু করেন ভগবান বিষ্ণু শিবকে পরিশান্ত করতে তার সুদর্শন চক্রদ্বারা সতীদেহকে খণ্ডবিখণ্ড করেন। 
সতীদেহের একান্নটি কন্ডে বিভক্ত হয়ে নানন স্তানে পতিত হয়ে বিভিন্ন সক্তিপীঠ নাম ধারন করে আবস্থান করেন এর মাধ্যে পশিমবঙ্গয়ের কালিঘাট ও তারাপীঠ আন্যতম শক্তিপীঠ। সতীদেবির নয়ন তারা তারাপীঠে এই মন্দিরে আবস্থান করে ঋষি বশিষ্ঠ সর্বপ্রথম এই নয়ন তারা দর্শন করেছিলেন এবং ঋষি বশিষ্ঠ তারা মায়ের মন্দির স্থাপন করেছিলেন। তারপীঠ হল একটি বিখ্যত সিদ্ধপীঠ এখানে সাধনা করলে সধক আলৌকিক ক্ষমতা লাভ করে থাকেন। তবে কথিত আছে যে এই মন্দির নির্মাণকার্য করেন জয়দত্ত বণিক নামক ত্রয়োদশ শতাব্দীর এক বণিক পরিবারের সন্তান।

তারাপীঠ সংল্গন আন্যান্য তীর্থস্থানঃ-
Previous Post Next Post