করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলি কি কি ও তার চিকিৎসা পদ্ধতি

করোনাভাইরাস: করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলি কি কি ও তার চিকিৎসা পদ্ধতি


কোরনাভাইরাস বা নোভেল কোরনা ভাইরাস(কোভিড ১৯)

করোনা ভাইরাস ইনফেকশন  এর ফলে সর্দি কাশি জ্বর এবং শ্বাসকস্ট হতে পারে। আমাদের ভারতবর্ষে এই ইনফেকশেনের হার বেরেই চলেছে তা ছাড়া এই সব ইনফেকশন গুলি মানুষের প্রতি নিয়ত হয়ে থাকে এবং এমনিতেই ছেরে যাই। কিন্তু বর্তমানে চাইনার হুহান প্রদেশ থেকে  আসা এই ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরেছে। কোরনা ভাইরাস অনেক প্রকার আছে তার মধ্যে নোভেল কোরনা ভাইরাস আন্যতম যা শরিরে প্রবেশ করা মাত্র প্রচন্ড ভাবে শ্বাসকস্ট হয়ে পড়ে। প্রথমত এই ভাইরাস যে আপনার হয়েছে সেটা বোঝা অনেক কঠীন। তবে ধিরে ধিরে বোঝা যাই  ঠীক সর্দি, কাশি ,জ্বর এগুলির মত সাধারন লখ্যন গুলি দেখা  যাই। 
বর্তমানে কোরনা ভাইরাস একটি মারন রোগ হিসাবে পরিচিত হয়ে দারিয়েছেকোরনাভাইরাস যার আপর নাম কোভিড ১৯ বা নোভেল কোরনা ভাইরাস, চীনদেশ থেকে এসেছে এবং চিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত্র প্রায় ৮ হজাররের ও বেসি মানুষ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১০৬ জন, এখন তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিনে দিনে কোভিড ১৯ ভাইরাসে রোগাক্রান্ত রুগির সংখ্যা বেড়ে চলেছে এই ভাইরাস কে বিশ্ব স্বাথ্য স্বাংথ্যা একে বিশ্ব মহামারি বলে উল্লেখ করেছে। ঠিক একই রকম ভাবে চিন সহ আন্যান্য দেশে ২০০২ সালে এই ভাইরাস যার পুরো নাম (সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) মহামারি রুপে ছড়িয়ে মৃত্যুর সংখ্য ৭৭৮ হয় এবং রোগাক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের ও বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে এই ভাইরাস বিভিন্ন প্রজাতির হ্য় মোট ৭ রকমের হয় যার মধ্যে “কোভিড ১৯” আন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এটি ছোঁয়াচে রোগ পশুর দেহ থেকে মানুষের শরিরে ছড়িয়ে পরতে পারে এবিষয়ে সতর্কতা আবল্বনের কথা বলেছেন। এই রোগে আক্রান্ত হলেই যে মৃত্যু হবে এটা বিশেষজ্ঞরা কখন বলেনি গুজব ছড়াবেন না।

করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলি কি কি :-

নোভেল কোরনা ভাইরাসটি সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই প্রথমত দিকে হলে রেসপিরেটরি, শর্দি্‌, কাশি, জ্বর, হবে এবং তা ধিরে ধিরে বারতে থাকবে শেষে শ্বাস কস্ট হবে এটাই বিশেষ রুপ এই ভাইরাসের। বিষেজ্ঞরা এ বিষয়ে বলেছন যে শর্দি কাশি হলেই যে কোরনা  আক্রান্ত বলে বিবেচিত হবে তা নয় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে সর্দি কাশি এমনিতে প্রতিনিয়ত মানুষের হয়ে থাকে সুতরাং এগুলিকে সর্দি কাশি জ্বর হলে যেকোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করা হয় না প্রথমত দেখতে হবে যে আপনার আশেপাশে কোন ব্যাক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং আপনি সেইসব ব্যক্তিদের সংস্পর্শে গেছেন থেকেছেন তারপর আপনার এই সর্দি-কাশি-জ্বর এর এক সপ্তাহ পর শ্বাসকষ্ট এই ধরনের বিশেষ লক্ষণগুলি দেখা দিলে আপনাকে বুঝতে হবে যে করোনা আপনার শরীরে প্রবেশ করেছে সুতরাং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্লাড টেস্ট করে জানতে হবে। মানুষের শরিরের ফুসফুসে সক্রমন ঘটাই তার পর হাঁচি, কাশি ও শ্বাস প্রস্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। যার ফলে সক্রমন দ্রুত ভাবে বেড়ে ওঠে যার ফলে এটি আরো বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। চিন থেকে আসা এই করোনা ভাইরাস ভারতে দ্রুত হারে ছরিয়ে পড়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়ে দারিয়েছে অনেক ভারত সরকার দ্বারা জানন হয়েছে যে কোরনা ভাইরাসে আক্রমনতা রুকতে আক্রান্ত বাক্তিদের থেকে আন্তত ১ মিটার দূরে থাকার কথা বলেছে সাথে মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন।

কোরনা ভাইরাসের চিকিৎসাঃ-

কোরনা ভাইরাস নিয়ে বিশেষজ্ঞরা অনেক খুটিয়ে দেকছেন এবং প্রতিকারের চিকিৎসা চালাছেন যা থেকে মানুষ শীঘ্র বাঁচতে পারে তার ব্যবস্থা করছেন। তবে প্রতিকারের এখন কোন ঔষধ বের হয়নি তবে অনেক ডাক্তারদের মতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে ---
১। অপরিচিত কোন বাক্তিদের সাথে হাত মেলান থেকে দূরে থাকুন।
২। মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩। হাঁচি কাশির সময় রুমাল ব্যাবহার করুন।
৪। সর্দি কাশি দির্ঘ সময় ধরে হলে স্বাথ্যা কেন্দ্রে রক্ত পরিক্ষা করান।
৫। জিবানুনাশকারি সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে।
৬। জামাকাপর বদলাতে হবে পরিস্কার পরিছন্ন থাকুন।
৭। বাইরে গেলে হাত পা ধুয়ে বাড়িতে প্রবেশ করুন।
৮। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধকরতে হবে।
৯। সিনেমা হল, শপিং মল জমায়েতে যাওয়া ত্যাগ করতে হবে।
১১। রাত্রে লবন জল দিয়ে গারগিল করতে হবে।
১২। রোগে আক্রন্ত বক্তির বিছানা আলাদা করতে হবে।
বাড়িতে কোন ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত বক্তি থাকলে বিশেষ সাবধানতা আবলন্বন করে চলতে হবে পারলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।তবে ভারতের ডাক্তার বিষজ্ঞরা আস্বাস দিয়ে বলেছেন যে এই রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা শীঘ্র আসতে চলেছে যার ফলে এই রোগের হাতথেকে বাঁচা যাবে। ভাইরোলজিস্টরা জানন যে এই ভাইরাস সক্রমন হলে ভয় করবেন না সাবধানতা মেনে স্বথ্য কেদ্রে যোগযোগ করুন। এই ভাইরাস জ্বরকাশি সংস্পর্শ প্রভৃতির মাধ্যমে সংক্রমণ হয়। ৬০ দেশে করোনাভাইরাস মৃত্যুর সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি এবং আক্রান্তের সংখ্যা লাখ মানুষের কাছাকাছি।চীনের ইউহান প্রদেশের থেকে এই ভাইরাস এসে সারা বিশ্বে বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যার ফলে আক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে এই ভাইরাসের এখনো পর্যন্ত সঠিক চিকিৎসা কোনরকম টিকা ঔষধ বের হয়নি এসম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন তবে আশ্বাস দিয়েছেন যে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।তবে জানা গেছে যে ভারতের কিছু মানুষ এই নভেল করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচানো গিয়েছে।কোন ভাইরাস পশুপাখি গবাদি পশু থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে এর জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিয়ে চলা উচিত কোন ব্যক্তির শুকনো কাশি হলে তার মিটার দূরে থেকে কথা বলুন যাতে আপনার শরীরে তার সংস্পর্শে প্রবেশ না করে দরকার হলে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কথা বলুন এবং সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতর্কবার্তা জারি করে জানান যে তারা প্রত্যেকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করেন এবং হাতে হাত মেলানোর বদলে দূর থেকে নমস্কার করুন যা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতর্কবার্তা জারি করে জানান যে তারা প্রত্যেকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করেন এবং হাতে হাত মেলানোর বদলে দূর থেকে নমস্কার করুন যা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানান যে রাজ্যের করোনাভাইরাসের সংক্রমনের বৃদ্ধি পাওয়া থেকে রুখে দাঁড়াতে 15 এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্তমানে কোন ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করছেন যাতে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন সরকার।
Previous Post Next Post